,

নবীগঞ্জের ভাকৈর গ্রামে ট্রিপল মার্ডার মামলায় এক আইনজীবি গ্রেফতার

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই শিশু সন্তানসহ এক গৃহবধূ হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ শহরের কলাপাতা রেষ্টুরেন্ট এর সামনে থেকে ডিবি পুলিশ এক শিক্ষানবিশ আইনজীবিকে গ্রেফতার করেছে। সন্ধ্যা ৬টার সময় ডিবি ইন্সপেক্টর ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে আসামী কতুব উদ্দিন বাড়ি ফেরার পথে কলাপাতা রেষ্টুরেন্ট সামন থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। গত ২২ মার্চ পুলিশ উপজেলার ভাকৈর গ্রাম থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনায় ঐ সময় পুলিশ গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেফতার করে। পরে বাদী পক্ষ আদালতে আবেদন করে গ্রামের কতুব উদ্দিনকে মামলা আসামী হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করার জন্য আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে তাকে আসামী করা হয়। গতকাল এর প্রেক্ষিতেই ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জানাযায়, গত ২২ জানুয়ারী সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রুমেনা খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে মুসলিমা খাতুন (৭) ও ছেলে মুসা মিয়া (৫) এর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যূ হয়। গৃহবধুর লাশ বসতবাড়ির পুকুর পারে জারুল গাছের সাথে ঝুলন্ত এবং দুই শিশুর লাশ পুকুরের পানিতে পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামের বর্গাচাষী ফরিদ উদ্দিন ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির পুকুরে দুই সন্তানের লাশ ভাসতে দেখেন। এ ছাড়া বাড়ির একটি জারুল গাছে গলায় ওড়না দিয়ে পেছানো অবস্থায় গৃহবধু রুমেনা খাতুনের লাশ পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করেন হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে গৃহবধু রুমেনা খাতুনের পিতা মাসুক মিয়া জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে রুমেনা ও তার দুই সন্তানকে হত্যা করা হয়। তিনি হত্যা মামলা করলে রোমেনা স্বামীসহ কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর